• ঢাকা শনিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৫
শনিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৫

বিজয়নগরে আসামী ধরতে গিয়ে অটোচালককে মারধর, জনতার হাতে আটক এএসআই ও সোর্স

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম

বিজয়নগরে আসামী ধরতে গিয়ে অটোচালককে মারধর, জনতার হাতে আটক এএসআই ও সোর্স

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এক অটোরিকসা চালককে মারধোর করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক এএসআই ও সোর্সেরর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর ওই পুলিশ সদস্য ও সোর্সকে ৩ ঘন্টা আটকে রাখে এলাকার মানুষ। বৃহস্পতিবার সকালে সিংগারবিল ইউনিয়নের নলগুড়িয়া পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, পূর্বপাড়া গ্রামের  মৃত মোসলিম মিয়ার ছেলে এমরানকে ধরতে গিয়ে তার ভাই অটোচালক রাসেল মিয়াকে বেদম প্রহার করে এ এস আই শেখ সাদী ও সোর্স কাউছার।  এসময় বাড়ি মহিলাদেরও মারধোর করা হয়। এরপরই ক্ষুব্দ এলাকার মানুষ এএসআই ও সোর্সকে আটকে রাখে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া ও সিংগারবিল ইউনিয়ন  বিএনপির সাধারণ সম্পাদক  সজলের মধ্যস্থতায়  বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদেরর ছাড়িয়ে নেয়া হয়।

এদিকে রাসেল মিয়ার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাঁকে প্রথমে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পড়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য  জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন,বিজয়নগর থানা পুলিশ ও কয়েকজন সোর্সের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারন মানুষ। মাদক কারবারিরা রয়েছে নিরাপদে। পুলিশের সোর্সরা জড়িত মাদকের কারবারে।

এবিষয়  এ এস আই শেখ সাদী জানান আমি রাসেলকে বড় রকমের আঘাত করেনি।সোর্স কাউছারের আঘাতে হাত ভাঙতে পারে। তবে বিষয়টি ওসি স্যার স্থানীয়দের মধ্যস্থতাই নিস্পত্তির  উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আহত রাসেলের চাচাতো ভাই  সিঙ্গারবিল বাজারের ব্যবসায়ী বাবুল এলাহি বলেন  পুলিশ অন্যায় ভাবে পিটিয়ে তার হাত ভেঙে ফেলেছে।

বিষয়টি ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া ও বিএনপি সজলের মাধ্যমে শনিবার থানায় বসে নিষ্পত্তি করার কথা রয়েছে। উপযুক্ত বিচার না পেলে আদালতে মামলা দায়ের করা হবে।

এব্যাপারে বিজয়নগর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এ এস আই সাদী একছরের সাজা প্রাপ্ত আসামি ধরতে গিয়েছিল। তার ভাই আসামী কে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। পুলিশকে কেউ আটক করেনি।বিষয়টি আমি দেখছি।

কেইউ/জনতারটিভি

Link copied!