• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন নবীনগরের মৃৎশিল্পীরা

মো. খলিলুর রহমান খলিল

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ০২:১৭ পিএম

শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন নবীনগরের মৃৎশিল্পীরা

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ভোলাচং মৃৎশিল্পের খ্যাতি দেশ ব্যাপী। বিশেষ করে সনাতক ধর্মের সবচেয়ে বৃহৎ শারদীয় দূর্গা প্রতিমা তৈরিতে পারদর্শী ভোলাচং পাল পাড়ার কুমারেরা।

কালের বিবর্তনে নানান প্রতিকূলতায় নদীপথের নাব্যতা সংকট, জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিসহ উচ্চ সুদে ঋণের কারণে মূর্তি তৈরির আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের মূল্য বৃদ্ধির ফলে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প।

এ বছর ভোলাচং থেকে প্রায় চারশোর মতো দূর্গা মর্তি তৈরি করা হচ্ছে। বিশটি খলায় বা কারখানায় গড়ে আশি থেকে ১ কোটি টাকার মূর্তি বিক্রি হবে। এ বছর চারশোর মতো মূর্তি তৈরির ফরমায়েশ পেয়েছেন পাল পাড়ার মৃৎশিল্পীরা। কুমার পাড়া ঘুরে জানা যায় প্রায় দুইশো বছর আগে থেকেই এ পাড়ায় মৃৎশিল্পের কাজ চলে আসছে।

২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শারদীয় উৎসব শুরু হবে। শেষ মুহুর্তে চলছে প্রতিমায় রং দিয়ে, শাড়ী পড়িয়ে (চক্কর দিয়ে) সাজসজ্জার কাজ।

নবীনগর পৌর এলাকার ভোলাচং কুমার পাড়ার  গৌরাঙ্গ রৌদ্রপাল জনতার টিভিকে জানান, বাপ দাদার কাছ থেকে শিখা এই পেশায় ৬০বছর যাবত আছি, আগামীদিনেও এই মৃৎশিল্পের কাজে নিয়োজিত থাকবো।

নবীনগরের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পকে বাঁচাতে সরকারের বহুমুখী উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণকরা দরকার বলে স্থানীয় মৃৎশিল্পরা মনে করেন।

তবে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে  শিল্প জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মৃৎশিল্পীরা হাতে রং দেওয়ার পাশাপাশি আধুনিক মেশিনেও রং করছেন।

কেইউ/জনতারটিভি

Link copied!