• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সরাইলে প্রতিপক্ষের হামলায় লণ্ডভণ্ড কৃষকদল নেতার বাড়ি, ২১ দিন যাবত ঘরছাড়া পরিবার

মো. বাদল মিয়া, সরাইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম

সরাইলে প্রতিপক্ষের হামলায় লণ্ডভণ্ড কৃষকদল নেতার বাড়ি, ২১ দিন যাবত ঘরছাড়া পরিবার

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা'র নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চৌরাগোদা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নোয়াগাঁও ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য সচিব ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম। এ ঘটনায় সরাইল থানায় একাধিক মামলা রেকর্ড হলেও আসামিরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে, এদিকে প্রায় ২১ দিন যাবত পরিবার নিয়ে ঘর ছাড়া ভুক্তভোগী এই কৃষকদল নেতা।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী কৃষকদল নেতা আব্দুর রহিম অভিযোগ করে বলেন, আমার চাচাতো ভাই রবিউল্লাহ তার দলবল ও এলাকার ক'জনের যোগসাজশে এ তান্ডব চালিয়েছে। সে জোরপূর্বক আমার পৈতৃক সম্পত্তি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে দীর্ঘদিন যাবত। জমির বিষয়ে আদালতে  মামলা চলমান ও ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও নিজের পেশিশক্তি ও অর্থের জোরে আদালতের রায় অমান্য করে কয়েক দফায় আমার বসতবাড়িতে হামলা এবং আমার পরিবারের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে রবিউল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, গত (১১ জুলাই) প্রথম আমার পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও আমার ছেলেকে গুরুতর আহত করেছে রবিউল্লাহ ও তার দলবল। এ ঘটনায় আমি মামলা দায়ের করার পর ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেই জামিনে এসে গত আগস্ট মাসের ২৩ তারিখে আবারও আমার বসতঘরে হামলা ও লুটপাট এবং আমার পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তারা। এসময় আমার স্ত্রী তাদের বাঁধা দিতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়। আমি তখন নেতাকর্মীদের নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বিএনপির পোগ্রামে অবস্থান করছি, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভী। পরবর্তীতে মুঠোফোনে বাড়ির ঘটনা জানতে পেরে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করি, তবে লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ এখনো সরেজমিনে আসেনি। এদিকে রবিউল্লাহ ও তার দলবলের কারণে আমি ২১ দিন যাবত পরিবার নিয়ে অন্যত্র বসবাস করছি। আমি ন্যায় বিচার চাই।

ভুক্তভোগী আব্দুর রহিমের স্ত্রী ও ছেলের দাবি, হত্যার উদ্দেশ্যে'ই তাদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়ে আসছে রবিউল্লাহ ও তার দলবল। হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি লুটপাট করা হয়েছে নগদ এক লক্ষ আশি হাজার টাকা ও জিনিসপত্র। নানাভাবে নিপীড়িত নির্যাতিত হলেও পাশে দাঁড়াচ্ছে না স্থানীয় সালিশকারক কিংবা জনপ্রতিনিধিদের কেউই।

তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মোঃ রবিউল্লাহ বলেন, আব্দুর রহিম প্রথমে আমাদের বসতঘরে হামলা চালিয়েছে। পরবর্তীতে তার ঘরে হামলা হয়েছে। যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত এটি মূলত কবরস্থান ছিলো, যার মালিক আমার সাত দাদার ওয়ারিশেরা। কবরস্থান অন্যত্র সড়িয়ে নেওয়ার ফলে ২০১৩ সালে এটি ৭ ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে পুরো জায়গাটিকে নিজের বলে দাবি করছে আব্দুর রহিম। আদালতে তার দায়ের করা মামলার জবাব দিতে গিয়ে কাগজপত্র ঘাটাঘাটি করে জানতে পারি পুরো সম্পত্তি আমার বাবার একক নামে রয়েছে। আরওয়ার, সিএস ও বিএস সকল কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে। অথচ নিজের প্রভাব খাটিয়ে আব্দুর রহিম এটিকে দখল করার পায়তারা করছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জাহিদ হাসান বলেন, আব্দুর রহিমের দায়েরকৃত মামলাগুলো'র তদন্ত চলছে ও আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

কেইউ/জনতারটিভি

Link copied!