ভারতের অভিজ্ঞ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল এবার খোলাখুলি বললেন নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কঠিন এক অধ্যায় নিয়ে। স্ত্রী ধনশ্রী ভর্মার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নানা গুঞ্জন ও কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
তবে এসবের মাঝেও মুখ খোলেননি এতদিন। অবশেষে রাজ শামানির পডকাস্টে এসে চাহাল জানালেন, এই সময়ে তিনি গভীর মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। আত্মহত্যার চিন্তাও এসেছিল মাথায়।
চাহাল বলেন, “বহুদিন ধরেই বিষয়টা চলছিল। আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যতক্ষণ না আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত বিষয়টা জনসমক্ষে আনব না। কারণ, যদি শেষ পর্যন্ত না-ও হয়, তাহলে তো অপ্রয়োজনীয়ভাবে খবর হতো। আমরা স্বাভাবিক দম্পতির মতোই সামাজিক মাধ্যমে থেকেছি।”
বিচ্ছেদের পর নানা জল্পনা-কল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ তাঁকে চিটার বলেও মন্তব্য করেন। এসব নিয়ে চাহালের সাফ কথা, “আমি কারও সঙ্গে প্রতারণা করিনি। এমনকি আমার প্রেমের সম্পর্কে কখনও কারও সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। আমি খুবই বিশ্বস্ত একজন মানুষ।
আমার দুই বোন আছে, আমি জানি নারীদের কীভাবে সম্মান করতে হয়। শুধু কাউকে কারও সঙ্গে দেখেই যদি মানুষ গুঞ্জন ছড়ায়, সেটা খুব কষ্টকর। অনেক সময় দেখা যায়, এসব রটনা ভিউ পাওয়ার জন্য করা হয়। কেউ যদি একবার রিঅ্যাক্ট করে, তখন আরও অনেকে আসে কারণ তারা জানে আপনি প্রতিক্রিয়া জানাবেন।”
নিজের মানসিক অবস্থা নিয়ে চাহালের স্বীকারোক্তি ছিল আরও বিষণ্ন। বলেন, “একটা সময় আমি নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম। প্রতিদিন একই ঘটনা, একই চিন্তা, একটানা ২ ঘণ্টা কাঁদা, মাত্র ২-৩ ঘণ্টা ঘুম— এগুলো নিয়মিত চলছিল। মনে হতো, এটা আর চলতে পারে না। এর আগেও এরকম হতো, তবে সেটা ১-২ দিনের জন্য। কিন্তু এবার ৪০-৪৫ দিন ধরে চলছিল। আমি তখন ক্রিকেট থেকে বিরতি নিই।”
কেন বিরতি নিয়েছিলেন, সেটাও স্পষ্ট করেন চাহাল। তাঁর ভাষায়, “আমি চাইনি আমার কারণে দলের ক্ষতি হোক। আমি ঠিক ছিলাম না, তাই ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলাম।
আপনার মতামত লিখুন :