ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নাথপাড়া গ্রামের ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন ভূমিহীন বিধবা রশিদা বেগম (৪৫)। স্বামী হারানোর পর টানা দশ বছর ধরে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে লালন-পালন করেছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলে আলিফ ও একমাত্র মেয়েকে। কিন্তু আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে তিনি লড়ছেন মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে। অর্থাভাবে চিকিৎসা না হলে তাকে বাঁচানো কঠিন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
দীর্ঘদিন ধরে জরায়ুজনিত সমস্যায় ভুগলেও অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি রশিদা। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরীক্ষায় জানা যায়, তার রোগ ক্যানসারে রূপ নিয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার ছোট ভাই রতন মিয়া বলেন, অভাবের মাঝেও বোন সন্তানদের জন্য সব করেছে। স্বামী জীবিত থাকাকালীন সন্তান না হওয়ায় একটি শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলেকে দত্তক নিয়েছিল। স্বামীর মৃত্যুর পরও কষ্ট করে সন্তানদের মানুষ করেছে। এখন ডাক্তাররা জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসা ছাড়া তাকে বাঁচানো সম্ভব নয়।”
সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম সুমন বলেন,
“রশিদা একজন আদর্শ মা। মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে তিনি সন্তানদের বড় করেছেন, কখনো ভিক্ষার আশ্রয় নেননি। অথচ আজ সেই রশিদা অর্থাভাবে মৃত্যুশয্যায়। তার মৃত্যু হলে সন্তানদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যাবে। চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। তাই সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। উন্নত চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে সন্তানদের কাছে ফিরে আসবেন—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
আপনার মতামত লিখুন :