কিডনি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা রক্ত পরিষ্কার করে শরীর থেকে বর্জ্য অপসারণ করে। এছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য রক্ষা, রক্তের লাল কণিকা উৎপাদন এবং হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে (২৯ মে ২০২৫) কিডনির সমস্যা শনাক্তে কিছু প্রাথমিক লক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে। যেমন-
ফেনা বা বুদবুদযুক্ত প্রস্রাব: এটি প্রোটিনিউরিয়ার লক্ষণ, যার মাধ্যমে কিডনি ছাঁকনি ঠিকমতো কাজ না করলে প্রস্রাবে অতিরিক্ত প্রোটিন নির্গত হয়।
শরীর ফোলা: বিশেষত পায়ের গোড়ালি ও চোখের নিচে ফোলাভাব দেখা দিলে এটি কিডনির ত্রুটির ইঙ্গিত হতে পারে।
রাতে ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ: কিডনি ঠিকমতো প্রস্রাব শোধন করতে না পারলে এ সমস্যা হয়।
অবসাদ ও ক্লান্তি: কিডনি হরমোন উৎপাদন কমিয়ে দিলে অ্যানিমিয়া হয়, যার ফলে শরীরে দুর্বলতা ও অবসাদ দেখা দেয়।
এছাড়া প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, ক্ষুধামন্দা, চুলকানি বা মাংসপেশিতে টান লাগার মতো সমস্যাও কিডনির অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। এসব উপসর্গ অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা জেনে কিডনির কার্যকারিতা নির্ণয় করা জরুরি।
প্রতিরোধের উপায়
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান, সুষম খাদ্য গ্রহণ, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কিডনির সমস্যা প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করতে পারলে তা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই সচেতনতা ও সময়মতো চিকিৎসাই হলো প্রধান প্রতিকার।
আপনার মতামত লিখুন :