ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ও সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আতাউল্লাহ অভিযোগ করেছেন, অখণ্ড বিজয়নগর রক্ষার দাবিতে নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠিত শুনানিতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ–সম্পাদক রুমিন ফারহানার সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে এবং কেন্দ্রীয়-স্থানীয় নেতাদের নিয়ে মিথ্যাচার করেছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় জেলা শহরের দক্ষিণ পৈরতলা বাসস্ট্যান্ডের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
আতাউল্লাহ জানান, গত ২৪ আগস্ট আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে শুনানি চলাকালে তিনি বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ডায়াসে দাঁড়ালে রুমিন ফারহানা আসন থেকে উঠে এসে আক্রমণের ইঙ্গিত দেন।
এসময় তার অনুসারীরা কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে হামলা চালায়। এতে বিজয়নগর উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল হক চৌধুরী এবং জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক শেখ মুস্তফা সুমন গুরুতর আহত হন।
তিনি দাবি করেন, ঘটনার পুরো চিত্র কমিশনের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট ধরা আছে। কিন্তু হামলার ভিডিওর কিছু অংশ বিকৃতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে তাকে উল্টো আক্রমণকারী হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এটিকে তিনি “মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে অভিহিত করেন।
আতাউল্লাহ বলেন, অখণ্ড বিজয়নগর রক্ষার দাবিতে গত ৩১ জুলাই সর্বপ্রথম তার পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে লিখিত আপত্তি জমা দেওয়া হয়। পরে এলাকাবাসী বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে।
এদিকে, সম্প্রতি এক টেলিভিশন টকশোতে রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৩ আসনে এনসিপির নেতাদের টাকা দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আতাউল্লাহ বলেন,
“এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ। আমাকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র হিসেবেই এমন বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে অখণ্ড বিজয়নগর রক্ষা পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রধান সমন্বয়কারী আজিজুল হক লিটন, কেন্দ্রীয় সংগঠক জিহান মাহমুদ, আক্কাস মীর, আতিকুর রহমান আপেল, শেখ আরিফ বিল্লাহ আজিজী, সাহিল আহমদ, বিন ইয়ামিন, জয়ন্তী বিশ্বাস, নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা এনসিপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :