বিদেশে অবস্থানরত অনেক বাংলাদেশিরই মনে প্রশ্ন দেশের মোবাইল সিম বিদেশে ব্যবহার করা যায় কি না? এর উত্তর হলো হ্যা। বাংলাদেশি সিম বিদেশে ব্যবহারযোগ্য, তবে এর জন্য ইন্টারন্যাশনাল রোমিং চালু থাকতে হবে।
বর্তমানে দেশের চারটি প্রধান মোবাইল অপারেটর—গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক—সবকটিই আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা দিয়ে থাকে। এই সেবা চালু থাকলে বিদেশে গিয়ে ওই সিমের মাধ্যমে কল রিসিভ ও প্রেরণ, এসএমএস পাঠানো এবং মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যায়।
রোমিং সুবিধা চালু করতে হলে গ্রাহককে বিদেশে যাওয়ার আগেই সংশ্লিষ্ট অপারেটরের অ্যাপ বা কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে অনুরোধ করতে হয়। কখনো কখনো নিরাপত্তা জামানত জমা দিতে হয়, আবার অনেক অপারেটর নির্দিষ্ট রোমিং প্যাকও অফার করে।
তবে এই সেবা ব্যবহারে কিছু সতর্কতা জরুরি। রোমিং চার্জ সাধারণত অনেক বেশি হয়। বিশেষ করে ইন্টারনেট ব্যবহারে সাবধান না হলে মোটা অঙ্কের বিল গুণতে হতে পারে। অনেকে ভুল করে ডেটা রোমিং চালু রাখেন, ফলে অপ্রয়োজনীয় ডেটা ব্যবহারে দ্রুত ব্যালান্স শেষ হয়ে যায়।
তবে আন্তর্জাতিক রোমিং চালু থাকলে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো—বাংলাদেশি নম্বরটি হোয়াটসঅ্যাপ, ব্যাংকিং ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকলে সেগুলোর ওটিপি (OTP) সহজেই রিসিভ করা যায়। এতে প্রবাসে থেকেও অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যারা দীর্ঘ সময় প্রবাসে থাকেন এবং বাংলাদেশের নম্বরটি সংযুক্ত রয়েছে বিভিন্ন ডিজিটাল সেবায়, তাদের জন্য আন্তর্জাতিক রোমিং চালু রাখা অনেকটাই আবশ্যক। তবে রোমিং প্যাকেজ ও চার্জ সম্পর্কে আগে থেকে অবগত হওয়া ভালো।
সর্বোপরি, বিদেশে থেকেও বাংলাদেশি নম্বর সচল রাখা যায়—শুধুমাত্র কিছু সহজ নিয়ম অনুসরণ করলেই। যোগাযোগের এই সম্ভাবনা অনেক প্রবাসী বাংলাদেশির জীবনকে আরও নিরাপদ ও সহজ করে তুলছে।
আপনার মতামত লিখুন :