ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করেছেন জনতা। পরে সেখান থেকে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে গেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে তারা সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে তাদেরকে অবরুদ্ধ রেখে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজনকে পুলিশে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা।
সেখানে আওয়ামী লীগের গোপন বৈঠক চলছিল, এমন দাবিতে তাদের অবরুদ্ধ করা হয়।
জানা যায়, ডিআরইউতে ৭১ মঞ্চ নামে একটি সংগঠনের গোল টেবিল বৈঠক ছিল। সেখানে লতিফ সিদ্দিকী যোগ দেন। সাংবাদিক ও শিক্ষক পরিচয়ে আরও কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হন। এরপর উত্তেজিত জনতা তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
জনতার দাবি, সেখানে আওয়ামী লীগের গোপন বৈঠক চলছিল। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর একে একে তিনটি পুলিশের গাড়ি লতিফ সিদ্দিকীসহ বাকিদের নিয়ে যায়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি একজন অংশগ্রহণকারী। এখানে দল-মত নির্বিশেষে সব মুক্তিযোদ্ধাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাই এসেছি। আমরা অনুষ্ঠান শুরু করেছিলাম। লতিফ সিদ্দিকী সাহেবও এসেছিলেন, তবে কামাল হোসেন সাহেব আসেননি।
কিছুক্ষণ পর ২০-২৫ জন যুবক এসে হট্টগোল শুরু করে এবং আমাদের ঘিরে ফেলে। তবে তারা কারও গায়ে হাত দেয়নি। পরে দুপুর ১২টার দিকে এডিসি আসাদের নেতৃত্বে লতিফ সিদ্দিকীসহ কয়েকজনকে পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে আল আমিন রাসেলের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে লতিফ সিদ্দিকী ও অন্যান্য উপস্থিত ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং মিলনায়তনে প্রবেশ ও অবস্থান ঠেকাতে চেষ্টা করেন। তারপর তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি রোধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষার দাবিতে ‘মঞ্চ ৭১’ নামে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম গত ৫ আগস্ট আত্মপ্রকাশ করেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এ মঞ্চ গঠিত হয়।
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (বীর প্রতীক) ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না এ প্ল্যাটফর্মের সমন্বয় করছেন।
কেইউ/জনতারটিভি
আপনার মতামত লিখুন :