• ঢাকা রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫
পরীক্ষামূলক সংস্করণ
রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

আলোচনা সভায় ১৮ দল: ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম

আলোচনা সভায় ১৮ দল: ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে

ছবি: সংগৃহীত

‘দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় এগিয়ে নিতে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায় বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। গণতন্ত্রকামী জনগণও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলছেন। সরকার সংস্কার ইস্যুতে সময়ক্ষেপণ করলেও নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে। অথচ বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংস্কার হবে জাতীয় নির্বাচন। অবিলম্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের সুনির্দষ্টি রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। জনগণের প্রত্যাশিত ও কাঙ্ক্ষিত ভোটের উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।’

মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে ‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। এতে বিএনপিসহ ১৮টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতারা বক্তব্য দেন। অভিন্ন সুরে তারা এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দাবি করেন।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখন জাতীয়ভাবে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। নির্বাচন সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়, বিচার স্বাধীনভাবে চলবে। এ সরকারের পরে যারা সরকারে আসবে, তাদের সেটা টেনে নিয়ে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। সেগুলোর বিচার করতে গেলে অনেক সময় লাগবে এবং সেই সময়ে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে বিচারের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে। সুতরাং বিচারের সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক সরাসরি আছে, সেটা বলা ঠিক হবে না। আর বিচারের জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া অবিচারের শামিল। কারণ, বিচারের দীর্ঘ প্রক্রিয়া আমরা সবাই জানি এবং সুবিচার করতে হলে সময় দিতে হয়।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশে-বিদেশে বসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা সৃষ্টির অনেক চেষ্টা হয়েছে। অস্থির পরিস্থিতি বন্ধের উপায় হলো, একটি গণতানি্ত্রক রাজনৈতিক শক্তি প্রতিষ্ঠিত করা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেটি যত দ্রুত বাস্তবায়ন হবে ততই জাতির জন্য মঙ্গল।’

প্রধান উপদেষ্টা কোনো জবাবদিহি করেন না, মিষ্টি হাসি দিয়ে বিদায় দেন-মান্না সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘একটি মাত্র রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায় এ বক্তব্যের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কোনো ব্যাখ্যা দেননি। মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’

Link copied!